আদালতপাড়ার জনপ্রিয়তায় এখানো অপ্রতিদ্বন্দি এড. জুয়েল

নারায়ণগঞ্জ মেইল: সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিজয়ীদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন সমিতির ইতিহাসে সবচেয়ে ডায়নামিক সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। দুবছর সাধারণ সম্পাদক ও দুই বছরের সভাপতির টানা চারবছরের স্বপ্নের সফর শেষে এখন তিনি অবসরে। নেতৃত্বের কোন পদে না থাকলেও দল মত নির্বিশেষে আদালতপাড়ায় জনপ্রিয়তায় এখানো অপ্রতিদ্বন্দি সদা হাস্যোজ্জল এই আইনজীবী নেতা। বছর বছর নির্বাচনের আগে দেয়া মিথ্যা অঙ্গিকারের ফুলঝুড়ি থেকে বেরিয়ে এসে স্বপ্ন বাস্তবায়নের কৌশল শিখিয়ে গেলেন এই হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের গর্ব করার মতো একাধীক উপাদান তৈরী করে ইতিহাস গড়ে নেতৃত্ব থেকে আপাতত বিদায় নিয়েছেন কীর্তিমান এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। তার চোখের সামনে এখন জ্বলজ্বল করে নির্মাণাধীন ডিজিটাল বার ভবন, আইনজীবীদের মৃত্যুকালীণ নিশ্চয়তা বেনাভোলেন্ট ফান্ড, এলডিপিএস, স্মার্ট কার্ড, ডিজিটাল ডিরেক্টরীসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। নারায়ণগঞ্জ জেলা বারকে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বারে রূপান্তর করার কারিগর এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল তাই রয়ে গেছেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের মনের মনিকোঠায়।


জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিতে ইতিহাস সৃষ্টিকারী নেতা হলেন এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তার নেয়া যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে আজীবন। বিশেষ করে শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে পুরানো বার ভবন ভেঙ্গে ফেলে নতুন ডিজিটাল বার ভবন তৈরীর উদ্যোগ জেলা বারের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। প্রতিপক্ষ বিএনপির আইনজীবীদের সাথে নিজ দলের একটি পক্ষেরও ঘোর বিরোধীতার মুখে যে অবিচল ধৈর্য আর সাহসীকতার সাথে নতুন ভবন তৈরীর কাজ শুরু করেছিলেন জুয়েল তা দলমত নির্বিশেষে সকল আইনজীবীর কাছে ছিলো প্রশংসনীয়।


এক সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির কোন ফান্ড ছিলো না, ছিলো না মৃত্যুর পরে সে আইনজীবীর পরিবারের জন্য কোন বরাদ্দ। ঠিক মতো বার কাউন্সিলের টাকা পরিশোধ না করায় এড. সুলতানউদ্দিনের মতো আইনজীবীর পরিবারও বার কাউন্সিলের বরাদ্দকৃত ৫ লক্ষ টাকা থেকে হয়েছিলেন বঞ্চিত। এসব বিষয় মনিটরিং করার কথা এবং সঠিক ডাটাবেজ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কখনো। নারায়ণগঞ্জ বারের আইনজীবীদের বসার জন্য ছিলো জরাজীর্ণ একটি তিনতলা ভবন। সে ভবনে ঠাঁই হতো না সবার, ফলে পাশে টিনশেডের মধ্যে গাদাগাদি করে বসতেন আইনজীবীরা।


তবে গত চার বছরে পাল্টে যেতে শুরু করেছে সেসব চিত্র। এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল তৎকালীণ সািমতির সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীণ আইনজীবীদের জীবন মান উন্নয়নের কাজে হাত দেন। সে থেকে শুরু করে গত চার বছরে আইনজীবী সমিতির কার্যক্রমে আমুল পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেরেন তিনিা। তার সবচেয়ে বড় এচিভম্যান্ট হলো আইনজীবীদের জন্য ‘বেনাভোলেন্ট’ ফান্ড গঠন করা যাতে বর্তমানে প্রায় ১০ কেটি টাকার উপরে জমা হয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনজীবীদের জন্য একটি ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা ছিলো এড. জুয়েলের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।


এর আগে নারায়ণগঞ্জ বারের উন্নয়নের বানী শুনিয়ে প্রতিবারেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতেন আইনজীবী নেতারা। কিন্তু কাঙ্খিত উন্নয়নের সুফল পাচ্ছিলেন না সাধারণ আইনজীবীরা। বিশেষ করে একটি আধুনিক বার ভবন নির্মাণ ও দুই কোর্ট একত্রে রাখার বিষয়ে বছরের পর বছর সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন কিন্তু কেউ বাস্তবায়ন করেননি। কিন্তু গত ২০১৭-১৮ মৌসুমের বার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থীত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল নতুন কোন প্রতিশ্রুতি দেননি আইনজীবীদের বরং পুরানোদের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন। একটি ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা করে ভেঙ্গে ফেলেন পুরানো জরাজীর্ণ বার ভবনটি। ফলে পরবর্তী তার উপরই ভরসা রাখেন আইনজীবীরা এবং জুয়েল-মোহসীন প্যাণেল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জণ করে।


বারের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বরাদ্দ এনেছেন তৎকালীণ সভাপতি এড. হাসান ফেরদৌস জুয়েল। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমান এই ভবন নির্মাণের জন্য তিন কোটি টাকা দিয়েছেন। আর এ টাকা দিয়ে আইনজীবীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ চলছে যা এখন নীচের কাজ শেষ, দোতলার কাজও শেষের পথে। এখন এড. জুয়েলের স্বপ্ন উপরে আকাশ ছোঁয়ার অপেক্ষায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ