নারায়ণগঞ্জ মেইলঃ ফতুল্লার কুতুবাইল এলাকায় বিএনপির নেতা মৃত আলাউদ্দিন হাজীর পুত্র আক্তার হোসেন ও সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। মাদক ব্যবসায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগের পর এবার অস্ত্র ব্যবসা রয়েছে বলে আক্তার ও সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে আক্তারের কাছে থাকা আধুনিক কয়েকটি অস্ত্রের ছবি এসেছে এই প্রতিবেদকের কাছে। এসকল অস্ত্র শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম ব্যবহার করে থাকেন। এমন আধুনিক অস্ত্র বিক্রি ও ভাড়া দিচ্ছেন বলে আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
জানাগেছে, র্যাবের হাতে বিদেশী মদসহ গ্রেফতার হয়েছিল আক্তার ও তার ছোট ভাই সুমনসহ কাউন্সিলর আরিফুল। র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরই আক্তার ও সুমনের মাদক ব্যবসার গোমড় ফাঁস হয়ে যায়। এরপর মাদক থেকে অনেকটা দূরে থাকলেও সম্প্রতি অস্ত্র ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়েন। এছাড়াও দুটি অস্ত্রের লাইনেন্স থাকায় অবৈধ আধুসিক অস্ত্রগুলো দেখে ফেলতেও ঐ অস্ত্রেরও লাইসেন্স রয়েছে বলে চালিয়ে দেয়। আক্তারের কাছে থাকা অস্ত্রের ছবিগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সদস্যকে দেখানো হলে তারা নিশ্চিত করেছেন এমন আধুনিক অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয় না।
তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, অস্ত্রগুলো বিক্রি করার জন্যই তিনি এনেছিলেন যা ব্যবহারও করা হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, বিএনপির নেতা আলাউদ্দিন হাজীর মৃত্যুর পর তার পুত্র আক্তার ও সুমন আওয়ামীলীগার বনে গিয়ে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাদের কাছে বিভিন্ন সময় আধুনিক অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দেয়। বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান করে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা করছে আক্তার ও সুমন।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টি, এম, মোশারফ হোসেন জানান, অপরাধ নিয়ন্ত্রনে নিয়তিম অভিযানের অংশ হিসেবে অস্ত্র উদ্ধারেও আমাদের অভিযান চলছে। পাশাপাশি যাদের কাছে লাইসেন্স করা অস্ত্র রয়েছে তাদেরও খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের কাছে যতটা গুলি থাকার কথা তা রয়েছে কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। আক্তারের কাছে অস্ত্র থাকার বিষয়ে তিনি জানান, আমরা তথ্য পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিবো। নারায়ণগগঞ্জবাসীর সেবা নিশ্চিত করতে অপরাধ নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে আমাদের জেলা পুলিশ।