এসপি জায়েদুল, সেরাদের সেরা যিনি

নারায়ণগঞ্জ মেইল: সদ্য পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তার পদোন্নতিতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও খুশি হয়েছেন। কেননা জায়েদুল আলম নারায়ণগঞ্জে যোগদান করে প্রথমে গ্রেফতার বাণিজ্য বন্ধ করেছিলেন। পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের সমন্বয় বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। থানায় সেবা নিতে আসা মানুষদের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করেছেন।

এ সময়ের মধ্যে অভিযোগ, জিডি ও মামলা করতে এক টাকাও খরচ করতে হয়নি সেবা নিতে আসা মানুষদের। সেবা নিতে আসা মানুষদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে সেই সকল পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। তাই নারায়ণগঞ্জবাসী জায়েদুল আলমকে সেরা পুলিশ সুপারের চেয়ে সেরা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

গত আড়াই বছরে নারায়ণগঞ্জের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত চাঁনমারি বস্তি উচ্ছেদের মধ্যদিয়ে নারাযণগঞ্জে ইতিহাস গড়েছেন। কেননা দীর্ঘ বছর ধরেই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে চাঁনমারি বস্তিতে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি হচ্ছিল। বিভিন্ন সময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানেও চাঁনমারি বস্তি মাদক মুক্ত করতে পারেনি। কিন্তু পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম সেই মাদকের হাট ধ্বংস করেছেন। এছাড়াও সকল জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেছেন তিনি।

২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ অধিশাখার উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে আদেশ জারি করলে ২৯ ডিসেম্বর যোগদান করেন জায়েদুল আলম।

পুলিশ সুপার পদে জায়েদুল আলম যোগদানের কয়েক মাস পরই সারাদেশসহ নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছিলো। করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জেলা পুলিশের সদস্যরা সেবা নিশ্চিতসহ অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিলো জায়েদুল আলম। এমনকি লকডাউনের সময়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির জানাজার ব্যবস্থাও প্রথম পুলিশ সদস্যরাই করেছিল।

নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সাত খুনের কারনে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল এই শহর। বর্তমানে এই শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা পুলিশের ভয়ে আত্মগোঁপনে রয়েছে। আর যারা প্রকাশ্যে রয়েছেন তারাও এখন নিশ্চুপ। এছাড়াও পুলিশের সাথে সাধারণ মানুষের সমন্বয় বাড়াতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম কমিটি গঠন করেছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম। বিট পুলিশিং র্কাক্রমের মাধ্যমে পুলিশী সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের পদোন্নতিতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। পুলিশ সুপারের বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে গত আড়াই বছর নারায়ণগঞ্জবাসীকে সেবা নিয়েছেন তিনি। তবে পদোন্নতির কারণে অচিরেই অন্যত্র বদলি হচ্ছেন সেরা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ