নারায়ণগঞ্জ মেইল: হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের নামে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরার করা ধর্ষণ মামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হকের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
যে দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সোনারগাঁ থানা যুবলীগের সহসম্পাদক নাজমুল হাসান ও মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম। তাঁরা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও রতন মিয়ার সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ থাকলেও তাঁরা আদালতে উপস্থিত হননি। ফলে তাঁদের জন্য পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
এ নিয়ে ওই ঘটনায় দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এর আগে বিভিন্ন সময় মামলার বাদী জান্নাত আরাসহ আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কারাগার থেকে আদালতপাড়ায় আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাঁকে আবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। কিন্তু অপর দুজন সাক্ষীর জন্য সমন পাঠানো হলেও তাঁরা আসেননি। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরাসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত নেতা-কর্মী ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাঁদের ছিনিয়ে নেন। একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রয়েল রিসোর্টের ঘটনার ২৭ দিন পর সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।