নারায়ণগঞ্জ মেইল: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা। সেইসাথে পালায় তার মন্ত্রী এমপিসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। যারা এখনও দেশে আছেন তারা আওয়ামীলীগের পরিচয় আর ব্যবহার করছেন না। আওয়ামীলীগ না থাকায় তাদের চাঁদাবাজির সেক্টরগুলো খালি হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না বরং ৫ আগষ্টের পর থেকে নতুন এক শ্রেনির চাঁদাবাজ এসে আওয়ামীলীগের সেই শূণ্যস্থান পূরণ করেছে। তবে জনগনের প্রশ্ন সেই নতুন চাঁদাবাজ কারা?
প্রাচ্যের ডান্ডি খ্যাত নারায়ণগঞ্জের প্রধান সড়কের ফুটপাতে হকার বসিয়ে চাঁদাবাজি করতো স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও তাদের চেলা চামুন্ডারা। ৫ আগষ্টের পর থেকে তারা গায়েব। তবে আওয়ামীলীগ না থাকলেও থেমে নেই নারায়ণগঞ্জের ফুটপাতে চাঁদাবাজি। শহরের প্রানকেন্দ্র চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশের ফুটপাত জুড়ে ব্যবসা করছে কয়েক হাজার হকার। এসব হকারদের কাছ থেকে দৈনিক হারে চাঁদা উত্তোলন করছে একটি চক্র। তাছাড়া ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুত সংযোগ দিয়েও হকারদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের আমলে স্থানীয় সাংসদ শামীম ওসমানের সন্ত্রাসী বাহিনীর নেতৃত্বে নারায়ণগরেঞ্জর প্রধান সড়কের ফুটপাতে বসা কয়েক হাজার হকারের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করা হতো। রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সাথে সদর মডেল থানার কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য ও বিশেষ পেশার কিছু লোক মিলে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছিলো। এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে ছিলো ফুটপাতের চাঁদা আদায়ের দায়িত্ব। ৫ আগষ্টের পর যা শুধু হাত বদল হয়েছে কিন্তু বন্ধ হয়নি ফুটপাতের চাঁদাবাজি বরং কিছু ক্ষেত্রে তা আরো বেড়েছে। তবে সচেতন নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রশ্ন হচ্ছে এখন এই চাঁদার টাকা কার পকেটে যাচ্ছে ?