নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মাকসুদুল আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার (১২ জুন) নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে। এ সময় পুলিশ খোরশেদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করলে আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাইদুর রহমান। মামলা নং ৫৬৪/২১।
এ বিষয়ে মামলায় বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সাইদুর রহমান নারায়ণগঞ্জ মেইলকে জানান, মামলার বাদির মোবাইল ফোন বাদির জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে পুলিশ খোরশেদের সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করেছে আদালতের কাছে এবং আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদি সাইদা শিউলী নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন খোরশেদের মামলামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, বিএনপি নেতা খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবিদার সাঈদা আক্তার গত বছেরর ২৫ আগস্ট খোরশেদের বিাংদ্ধে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই নারায়ণগঞ্জকে নির্দেশ দেন। ২রা সেপ্টেম্বর পিবিআই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। গত ৮ নেভম্বর খোরশেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল।
প্রদিবেদন দাখিলের পর খোরশেদকে গ্রেফতার করতে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করলে হাই কোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। নির্বাচনের দুইদিন আগে গত ১৪ জানুয়ারী জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আর আত্মসমর্পণ করেনি খোরশেদ। এর আগে গত বছরের ১৬ই মে রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় কাউন্সিলর খোরশেদ ও রেহানা আক্তার নামে এক নারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন সাঈদা আক্তার। ওই মামলায় পুলিশ খোরশেদ ও রেহানা আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ (চার্জশিট) পত্র দিয়েছে। এই মামলায় আদালত চার্জ গঠন করেছে।