তারেক রহমানের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন সাখাওয়াত-টিপু

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ব্যর্থ কমিটির ভেঙে দিয়ে নতুন আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সাবেক কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবু ইউসুফ খান টিপুর উপর আস্থা রেখেছিলেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সেই আস্থার প্রতিদান দিয়ে যাচ্ছেন এই দুই নেতা‌ একের পর এক কর্মসূচি সফলতার সাথে পালন করছেন তারা। ইতিমধ্যে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন সাখাওয়াত-টিপু।

 

শত বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটে চলছে নারায়য়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করতে মহানগর বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি গঠনে কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন তারা। ইতিমধ্যে তারা দুটি ইউনিয়নের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিগুলো প্রকৃয়াধীন রয়েছে।

 

এছাড়া মামলা হামলা মাথায় নিয়েও তারা দলীয় সকল কর্মসূচি পালন করছেন। গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকা মহাসমাবেশে বিশাল জনসমাগম ঘটিয়েছেন তারা। সমাবেশের মঞ্চে অগ্নিঝরা বক্তব্য রেখেছেন সংগঠনের আহবায়ক অ্যাডভোকেট হোসেন খান। এতে করে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছেন এবং আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেয়ার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। যদিও তাদের চলার পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য নিজ দলের ভিতরে ষড়যন্ত্র করছে একটি পক্ষ কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়ে রাজপথে দুর্দান্ত প্রতাপ এগিয়ে চলেছেন সাখাওয়াত টিপু।

 

গত ১৬ ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে কয়েক হাজার নেতাকর্মী নিয়ে শহরে বিজয় শোভাযাত্রা করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি’র বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ। শহরের হোসিয়ারি সমিতি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রাটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষারা বিজয়স্তম্ভে এসে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়ে শেষ করা হয়। এভাবে প্রতিটি কর্মসূচি বীরত্বের সাথে পালন করে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ নেতা।

জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহবায়ক ও এডডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্য সচিব করে ঘোষনা করা হয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ৪১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী এই কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটি ঘোষনার পর থেকেই বিরোধীতা শুরু করেন যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান মুকুল। কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে মূলধারার বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন এবং বিএনপির বহিস্কৃত নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসভবনে গিয়ে কমিটি থেকে পদত্যাগের ঘোষনা দেন।

 

এরপর মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির কার্যকরী সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পদত্যাগকারী ১৪ জনের শূন্যস্থান পূরন করা হবে তবে তাদের মধ্যে মাষ্টারমাইন্ড তিনজন ছাড়া বাকি ১১ জনকে ক্ষমা চেয়ে মূলধারায় ফিরে আসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। যদি শূন্যস্থান পূরনের আগে তারা ফিরে আসে তাহলে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং সাদরে গ্রহন করা হবে। কিন্তু সেই আহবানে তারা এখনও সাড়া দেননি। বরং মহানগর বিএনপির কার্যকমে পদে পদে বাঁধার সৃষ্টি করছে। কিন্তু শত বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে দুর্বার গতিতে তারা এগিয়ে চলছেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী বদ্ধ পরিকর।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ