মাসদাইরে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, ঈদ উৎসবের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ মেইল: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন মাসদাইর পতেঙ্গার মোড় এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে। উঠতি বয়সের এসব অপরাধীদের দৌড়াত্মে দিশেহারা স্থানীয় মানুষজন। দিরভর এলাকায় আড্ডাবাজি, মাদক ব্যবসা, ইভটিজিং, চুরি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত থেকে এলাকাবাসীকে নাজেহাল করে ছাড়ছে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। এসব অপরাধীরা একাধীকবার পুলিশের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হলেও জামিনে বেড়িয়ে এসে ফের অপরাধে জড়িয়ে পরছে। প্রশাাসনের কতিপয় অসাধু সদস্যকে ম্যানেজ করেই এরা দিনের পর দিন এসব অপরাধ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই এদের হাত থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের সর্বোচ্চমহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মাসদাইর পতেঙ্গার মোড় এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকার মনির হোসেনের ছেলে সাইদ এই কিশোর গ্যাংয়ের নেতা। তার নেতৃত্বে স্থানীয় বাচ্চু মিয়ার পুত্র রাজন, নজরুল মিয়ার ছেলে সাবু, শরিফ মিয়ার ছেলে তুষারসহ ২০/৩০ জনের একটি গ্রুপ পতেঙ্গার মোড় এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে। এদের সবার বিরুুদ্ধেই একাধীক মামলা রয়েছে। মাদকসহ একাধীকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছে। এই গ্রুপের সদস্যরা স্কুল কলেজগামী মেয়েদের ইভটিজিং সহ নানাভাবে বিরক্ত করে থাকে। তাছাড়া রাতের বেলায় চুরি ছিনতাই তাদের নিত্যকার ঘটনা। এদের কারনে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন অভিভাবকরা। এই কিশোর গ্যাংয়ের লিডার সাইদের বিরুদ্ধে ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। চলতি বছরের প্রথম দিন মাসদাইর বাজার সংলগ্ন বেগম রোকেয়া খন্দকার স্কুলের সামনে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনায়ও এই সাইদের সম্পৃক্ততার কথা সকলের জানা।

নাম পরিচয় গোঁপন রাখার শর্তে জনৈক এলাকাবাসী জানান, তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অপরাধ তারা করে বেড়াচ্ছে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো তারা এলাকায় ওপেন মাদক বিক্রি ও সেবন করছে। এতে করে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের ভিিবষ্যত নিয়ে শংকার মধ্যে আছি। তাদের কাছে অবৈধ দেশি-বিদেশি অস্ত্র রয়েছে। তাই ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না।

অপর একজন বলেন, সম্প্রতি মাহে রমজান মাসে তারা নতুন কৌশলে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। ঈদ উল ফিতরের আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের নামে কার্ড ছাপিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাঁদাবাজি করছে। এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছেও ঈদ আয়োজনের কথা বলে টাকা দাবি করছে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা খারাপ ব্যবহার করছে। এমনকি ভয় ভীতি হুমকি ধামকিও দিচ্ছে। এ বিষয়ে সতর্ক করে গত শুক্রবার রমজানের প্রথম জুম্মায় স্থানীয় আল আমিন মসজিদের খতিব বয়ান করেছেন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমরা সাধারণ অধিবাসীরা তাদের ভয়ে সব সময় আতঙ্কিত থাকি। তাছাড়া পুলিশের সাথেও তাদের দেয়া নেয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে শুনেছি। তাই বিচার চাইবো কার কাছে!

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবউজ্জামান নারায়ণগঞ্জ মেইলকে বলেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

নারায়ণগঞ্জ মেইলে এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

সর্বশেষ